ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে শুক্রবার (২ আগস্ট) কাতারে দাফন করা হবে। হানিয়ার গুপ্ত হত্যার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান ও হামাস। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইতোমধ্যেই ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস সমৃদ্ধ আমিরাতের বৃহত্তম ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদে জানাজা শেষে কাতারের রাজধানী দোহার উত্তরে লুসাইলের একটি কবরস্থানে হানিয়াকে দাফন করা হবে। হামাস জানিয়েছে, ‘আরব এবং ইসলামিক নেতাদের’ পাশাপাশি অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপদলের প্রতিনিধি এবং জনসাধারণ হানিয়ার দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডস জানিয়েছে, বুধবার ভোরের আগে তেহরানে হামলায় হানিয়া ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া ইরানে গিয়েছিলেন।
হানিয়ার মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেড়েছে। বৃহস্পতিবার তেহরানে হানিয়ার জানাজায় হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানাজায় নামাজে ইমামতি করেছেন এবং হানিয়ার হত্যার জন্য ‘কঠোর শাস্তির’ হুমকি দিয়েছেন।
প্রতিশোধ নিতে ইরান ইতোমধ্যে লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। অন্তত পাঁচটি সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকে তারা প্রতিশোধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসমাইল হানিয়ার এই মৃত্যু পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।